এতে বলা হয়, এফওসিতে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়। অভিন্ন স্বার্থে অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদারে দু’পক্ষ একমত। বাণিজ্য, ব্যবসা, বিনিয়োগ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি, কানেকটিভিটি, সুনীল অর্থনীতি, হালাল বাণিজ্য, পর্যটন ও সংস্কৃতি, সক্ষমতা তৈরি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা, কৃষি, তথ্য-প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া অভিন্ন স্বার্থসংশ্লিষ্ট বৈশ্বিক বিষয়েও আলোচনা করে দু’পক্ষ।
এফওসিতে দু’দেশের মধ্যকার মুক্তবাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) অগ্রগতি পর্যালোচনার পাশাপাশি দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এগিয়ে নিতে দ্রুত চুক্তির বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়। সিঙ্গাপুরের সঙ্গে বাণিজ্যকে ভারসাম্যপূর্ণ করতে তৈরি পোশাক, ওষুধ, চামড়া ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক, প্লাস্টিক, বাইসাইকেলসহ মানসম্মত পণ্য প্রতিযোগিতামূলক মূল্যে আমদানির উৎস দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনার জন্য আহ্বান জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সিঙ্গাপুরের অর্থনীতির গতি বজায় রাখতে ওয়েল্ডার, মেডিকেল টেকনিশিয়ান, নিরাপত্তাকর্মী, মালি, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, কৃষি শ্রমিক, গৃহকর্মী প্রভৃতি খাতে দক্ষ ও আধাদক্ষ মানবসম্পদ সরবরাহে প্রস্তুতির কথা জানায় ঢাকা। একই সঙ্গে মানবসম্পদ উন্নয়নে সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে সহযোগিতার আগ্রহ প্রকাশ করে।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে সিঙ্গাপুরকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, কৃষি গবেষণা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহযোগিতার সম্ভাব্য সব ক্ষেত্র নিয়ে দু’দেশ বিস্তারিত আলোচনা করেছে বলেও জানান তিনি।