ঢাকা কলেজে কুকুরের কামড়ে পাঁচজন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
কলেজের কর্মচারী হাফিজুর রহমান ও উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণির আবাসিক শিক্ষার্থী ইমরান গুরুতর আহত হয়েছেন।
এছাড়া দক্ষিণ ছাত্রাবাসের এক শিক্ষার্থী, ক্যাম্পাসে ঘুরতে আসা এক ব্যক্তি ও কলেজের তিন নম্বর ফটক এলাকায় এক আনসার সদস্যও আহত হয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে আহত দুজনকে মহাখালী সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। বাকিরা অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ ঘটনায় আহত কলেজের কর্মচারী হাফিজুর রহমান বলেন, সকালে বাসা থেকে কলেজে যাওয়ার সময় শেখ কামাল ছাত্রাবাসের সামনে কুকুরের আক্রমণের শিকার হই। যে কুকুরটি কামড়িয়েছে সেটিকে কখনো ক্যাম্পাসে দেখিনি। পাগলা কুকুর হাঁটুর নিচে কামড় দিছে। পাঁচটা দাঁত মাংসে বসে গেছে। আমার হাতে থাকা ছাতা দিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করলেও সম্ভব হয়নি। এরপর কলেজ প্রশাসনের সহযোগিতায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছি।
এর আগে একই কুকুরের কামড়ে গুরুতর জখম হন কলেজের উত্তর ছাত্রাবাসের ৩১২ নম্বর কক্ষের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ইমরান হোসেন। একসঙ্গে পাঁচজন কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার ঘটনায় ক্যাম্পাসে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
নাজমুল নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, শুনেছি গতকাল ক্যাম্পাসের গেটে এই কুকুরে একজনকে কামড় দিয়েছে। এরপর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। কলেজ প্রশাসনের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া।
আব্দুর রাজ্জাক নামের এক কর্মচারী বলেন, এই পাগলা কুকুর এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে কামড় দিয়েছে। এর মধ্যে দুইজন ঢাকা কলেজের আর বাকিরা বাইরের। নায়েমের গলিতে একজন আনসার সদস্যকেও কামড়া দিয়েছে। সাধারণ শিক্ষার্থী ও কর্মচারীরা সবাই আমরা আতঙ্কে রয়েছি।
এ বিষয়ে ঢাকা কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউসুফ বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তাৎক্ষণিক আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। এরই মধ্যে সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট বিভাগে আমরা চিঠি দিয়েছি যেন দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়। ব্যক্তিগতভাবে তাদের সঙ্গে আমি যোগাযোগ করেছি।