দুই ওপেনারকে বসিয়ে দুইজন ‘মেকশিফট’ ওপেনার খেলানোর সিদ্ধান্তটায় সফলই হলো বাংলাদেশ। ওপেনার সাব্বির রহমান ব্যর্থ হলেও আরেক ওপেনার মেহেদি হাসান মিরাঝ রীতিমতো তাণ্ডবই চালালেন দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে! তাতেই লাল সবুজের প্রতিনিধিরা পেয়ে গেল উড়ন্ত এক সূচনা। তবে মিরাজ টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। পাওয়ারপ্লে শেষেই ফিরলেন তিনি।
শুরুটা দারুণ হয়েছিল বাংলাদেশের। শুরুর বলে চার মেরেছিলেন মিরাজ। যদিও পরে রানটা যোগ হয় লেগ বাইয়ের খাতায়। এরপর সাব্বির রহমানের বিদায় পর্যন্ত খেলেছেন একটু রয়েসয়েই। তৃতীয় ওভারে ওপেনিং সঙ্গী সাব্বিরের বিদায়ের পরেই যেন খোলস থেকে বেরোলেন তিনি।
চতুর্থ ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে শুরু মিরাজ-তাণ্ডবের। পরের ওভারে আরও এক ছক্কা, এবার যোগ হলো আরও এক চারের। ষষ্ঠ ওভার করতে আসা দিলশান মাদুশাঙ্কাকে মারলেন আরও এক চার।
তার এমন ঝড়কে অপর দিক থেকে সাকিব কেবল সঙ্গই দিয়ে গেছেন। তার বিদায়ের আগ পর্যন্ত বাংলাদেশ অধিনায়ক ৮ বল খেলে করেছেন ৬ রান। না হলে পাওয়ারপ্লে শেষে রানটা আরও বেশিই হতে পারত বাংলাদেশের। তবে তা হয়নি, যা হয়েছে তাও কম কীসে? ৬ ওভার শেষে ৫৫ রান তুলে ফেলে বাংলাদেশ।
তবে এরপরই ছন্দপতন হয় মিরাজের। ওয়ানিন্দু হাসরাঙ্গার বলে আড়াআড়ি ব্যাটে খেলতে গিয়ে ওভারের পঞ্চম বলে বোল্ড হন বাংলাদেশ ওপেনার। তবে ফেরার আগে ২৬ বলে ৩৮ রান করে সাকিবের দলকে বড় রানের দিশাই দিয়ে গেছেন তিনি।