কে এম সাইফুর রহমান, বিশেষ প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জ জেলার গোবরা ইউনিয়নে অবস্থিত শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিদিন সকাল- বিকাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষার্থীদের আনা-নেওয়া করতে এক সাথে ৪/৫ টি বড় বাসগাড়ি বের হয়। তাও আবার বেশির ভাগ সময় চলাচল করে শহরের ভিতরকার সরু রাস্তা দিয়ে। এই সকল গাড়ির চালকদের অধিকাংশের বাড়ি গোপালগঞ্জেই। এদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে রাস্তায় চলাচলরত পথচারীরা। এদের বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে পূর্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া শিক্ষার্থীর জীবন কেড়ে নিয়েছিলো। কিছুদিন পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের চালকদের সাথে ছাত্রদের তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে এতে চালক ও শিক্ষার্থী উভয়েই গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ২ জন ড্রাইভারকে বরখাস্ত করে। এ ব্যাপারে বিভিন্ন পত্রিকায় নিউজও প্রকাশ হয়। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে একের পর এক দুর্ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে বশেমুরবিপ্রবির ছাত্র-ছাত্রী বহনকারী গাড়ির চালকেরা। রাস্তায় চলাচল সাধারণ পথচারী চালকদের কিছু বললে, বলে আপনাদের কোন টাইম নাই।
গোপালগঞ্জ জেলা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের বাণীর চীফ রিপোর্টার এ.জেড আমিনুজ্জামান (রিপন)-এর জীবন অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। গত সোমবার (৮ আগস্ট) দুপুরে বেপরোয়া গতিতে শহরের পাঁচুড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড পার হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বাসগাড়ি তাকে অতিক্রম করে, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর কারণে একটুর জন্য প্রাণে বেঁচে যান ওই সাংবাদিক। পরবর্তীতে, ওই চালককে ঠিক মতো গাড়ি চালাতে বললে, উত্তরে চালক বলে, আমার কোন টাইম নাই। আমিও গোপালগঞ্জের ছেলে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষসহ প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ভুক্তভোগীরা এধরনের অদক্ষ চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহবান জানান এবং ভবিৎষতে যাতে এধরণের সড়ক দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।