চট্টগ্রাম নগরীর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদ মাঠে ঈদের নামাজের দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার সকাল পৌনে ৮টায় অনুষ্ঠিত প্রধান ও প্রথম জামাতে ইমামতি করেন জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদের খতিব হযরতুল আল্লামা সৈয়দ আবু তালেব মোহাম্মদ আলাউদ্দীন।
প্রথম জামাতে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনসহ বিশিষ্টজনরা অংশ নেন। এরপর অনুষ্ঠিত হয় ঈদের বিশেষ খুতবা। খুতবা শেষে মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয় ঈদের প্রথম জামাত। এরপর বেলা পৌনে ৯টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৭টা থেকে জায়নামাজ হাতে জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নিতে আসতে শুরু করেন মুসল্লিরা। এ সময় মসজিদ এলাকায় এবং প্রতিটি গেটে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি দেখা যায়।
এছাড়া লালদীঘি, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের শাহী জামে মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সুগন্ধা আবাসিক এলাকা জামে মসজিদ, হযরত শেখ ফরিদ (র.) চশমা ঈদগাহ মসজিদ, চকবাজার সিটি করপোরেশন জামে মসজিদ ও মা আয়েশা সিদ্দিকী চসিক জামে মসজিদে।
এদিকে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় ঈদ জামাত কমিটির ব্যবস্থাপনায় ঈদুল আজহার জামাত স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম মাঠে অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টায়। এতে ইমামতি করেন বায়তুশ শরফ আদর্শ সিনিয়র কামিল মাদরাসার অধ্যক্ষ ড. সাইয়েদ আবু নোমান।
এছাড়াও নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন মসজিদে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নামাজ শেষে মোনাজাতে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় আল্লাহর কাছে সাহায্য চান মুসল্লিরা। এছাড়া সারা বিশ্বের নিপীড়িত মুসলমানদের জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়। মোনাজাত শেষে একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলির পাশাপাশি ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন মুসল্লিরা।
এরপর ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় পশু কোরবানি শুরু করেছেন।