স্টাফ রিপাের্টার ॥ নড়াইলের জেলা ব্রান্ড চিত্রা। আর এই চিত্রানদীর ওপর নির্মিত শেখ রাসেল সেতু উদ্বোধনের সময় জানাযায় এ সেতুর ওপর দিয়ে বাসসহ কোন ভারী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। কে কার কথা শোনে। এর মধ্যেই মিনিবাস ও বাস মালিক সমিতি এবং ইজিবাইক সমিতির মধ্যে শুরেু হয়ে যায় সড়ক দখলের দ্বন্ধ। বাইপাস রাস্তা থাকা সত্বেও কোন নিয়মকানুনের বালাই করেনি উভয় পক্ষ।
জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিদের নিয়ে বারংবার বসেছেন। কেউই এই শহরের মধ্যদিয়ে ভারীযান বা বাসচলাচল করতে সম্মতি দেই নাই। অথচ অদ্যবদি তা বাস্তবায়ন হয়নি।
উল্লেখ্য, নড়াইল জেলা শহরের মধ্যে মাত্র ৩ কিলো মিটার রাস্তায় ভারী যানবাহনসহ বাসচলাচল বন্ধ করতে বারংবার ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। কথিত আছে স্তানীয় কিছু সিন্ডিগেট এবং কতিপয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া এ শহরের ভেতরের সড়ক দিয়ে ভারী যানবাহন বিশেষ করে বাসচলাচল বন্ধ করতে ব্যথ হয় প্রশাসন।
এর আগে কয়েকদফা সিদ্ধান্তের পর অবশেষে গত রবিবার (২১ মার্চ) বিকাল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অয়োজিত বিআরটিএর কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে এ শহরের ভেতর দিয়ে বাসচলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ সিদ্ধান্তের সময় উপস্থিত ছিলেন, পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় পিপিএম বার , জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসনে বিশ্বাস , জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুবাস চন্দ্র বোস, পৌরসভার মেয়র আনজুমান আরা প্রমুখ।
সভাসূত্রে জানাগেছে, এ সিদ্ধান্ত আগামি ২৮ মার্চ হতে কার্যকর হবে। শহরে যানজট এড়াতে ইজিবাক গুলোকে দুই ভাগ করা হয়েছে। প্রতিদিন ৫শ ইজিবাইক চলবে। একদিন লাল এবং অন্যদিন হলুদ রংয়ের ইজিবাইক চলবে।