কয়রায় আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, নির্যাতনের শিকার নারীরা তীব্র মানসিক অসুস্থতা নিয়ে জীবন যাপন করতে বাধ্য হন। তার পক্ষে সৃষ্টিশীল কিছু করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। আমাদের সমাজে হাজার হাজার নারীর সম্ভাবনা থাকা সত্বেও তাদের পক্ষে সমাজে সৃষ্টিশীল কিছু দেয়া সম্ভব হয় না। আমাদের সবারই উচিৎ নারী নির্যাতন বন্ধে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা পালন করা।
আজ বুধবার সকালে কয়রা উপজেলার মানব কল্যাণ ইউনিট মিলনায়তনে রূপান্তর-এর আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস ও পক্ষ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা ইউএসএইড, ইউকেএইড-এর সহায়তায় এবং কাউন্টারপার্ট ইন্টারন্যাশনালের টেকনিক্যাল সহায়তায় অনুষ্ঠিত এ সভায় কয়রা নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ প্লাটফর্ম-এর সদস্যবৃন্দসহ এ সভায় অংশ নেন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
প্লাটফর্মের যুগ্ম-আহ্বায়ক ইউপি সদস্য নারীনেত্রী সুলতানা শাহাদাৎ মিলি’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার। আলোচনা সভা ও মানব বন্ধন কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তৃতা করেন কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও প্লাটফর্মের সদস্য সচিব মোস্তফা শফিকুল ইসলাম, কয়রা শিশু অধিকার সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি আ ব ম আব্দুল মালেক, কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষক ঢালী দিদারুল ইসলাম প্রমূখ।
বক্তৃতাকালে মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেশমা আক্তার বলেন, সরকার নারী নির্যাতন রোধসহ নারীদের উন্নয়নে নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই সব কর্মসূচী সফল করতে সকলকে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
আলোচনা সভা শেষে কয়রা বাজারে মানব বন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়। সভায় অংশগ্রহণকারীবৃন্দ ছাড়াও বিপুল সংখ্যক মানুষ স্বতঃস্ফুর্তভাবে এই মানব বন্ধন কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস উপলক্ষে জনসচেতনতামূলক প্রচারপত্র বিলি করা হয়। এ ছাড়া নারী নির্যাতন ও বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে সরকারের জরুরী হটলাইন-এর তথ্য সম্বলিত দু’টি প্রচার বোর্ড স্থাপন করা হয় কয়রা বাজারের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে।
-প্রেস বিজ্ঞপ্তি