এবারই প্রথম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী ছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার চূড়ান্ত

65

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এবারই প্রথম ‘জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার’ শ্রেষ্ঠ অভিনেতা-অভিনেত্রী-কৌতুক চরিত্র এবং শিশু শিল্পী শাখার বিশেষ পুরস্কারের প্রার্থী ছাড়া তালিকা তৈরী করা হয়েছে।

এজন্য অন্যান্য ২৬টি শাখায় চলচিত্র/বিশিষ্ট শিল্পী/কলাকূশলীকে বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরুপ ‘জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার, ২০১৯’ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি।

সম্প্রতি জাতীয় চলচিত্র পুরস্কারের জন্য একটি তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে অনুমোদনের জন্য পাঠিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার, ২০১৯ এর জন্য জুরি বোর্ডের পাঠানো সুপারিশ এবং এ সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পর্যালোচনা সভায় শিশু শিল্পী শাখার বিশেষ পুরস্কার, শ্রেষ্ঠ অভিনেতা/অভিনেত্রী ও কৌতুক চরিত্রের জন্য কোনো প্রার্থী যোগ্য বিবেচিত না হওয়ায় ২৮টি ক্ষেত্রের মধ্যে ২৬টি ক্ষেত্রে বিশেষ কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরুপ জাতীয় চলচিত্র পুরস্কার দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

আজীবন সম্মাননা পুরস্কারের জন্য যুগ্নভাবে মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দাকে নির্বাচিত করা হয়েছে। সাপলুডু চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ খল চরিত্রে জাহিদ হাসান, শ্রেষ্ট চলচিত্রের জন্য যুগ্নভাবে মাহবুবুর রহমানের ‘ন ডরাই’ ও ফরিদুর রেজা সাগরের ‘ফাগুন হাওয়ায়’, শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ চলচ্চিত্র হিসেবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের ‘নারী জীবন’, শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র হিসেবে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘যা ছিল অন্ধকারে’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে তানিম রহমান অংশু, শ্রেষ্ঠ গীতিকার যুগ্নভাবে ‘কালো মেঘের ভেলা’ চলচ্চিত্রে ‘ইস্টিশনে জন্ম আমার’ গানের জন্য নির্মলেন্দু গুন ও মায়া: দ্য লস্ট মাদার চলচ্চিত্রে ‘চলো হে বন্ধু চলো’ গানের জন্য ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরীকে (কামাল চৌধুরী), শ্রেষ্ঠ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, বাংলাদেশ চলচ্চিল ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট, নারী জীবন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।