মাশরাফীর প্রচেষ্টায় নড়াইল সদর হাসপাতালে সরাসরি কোভিড-১৯ পরীক্ষা শুরু

511

নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রচেষ্টায় মাত্র ৪৫ মিনিটে কোভিড-১৯ পরীক্ষা এখন নড়াইল সদর হাসপাতালে হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার স্বীকৃত, যুক্তরাষ্ট্রে উদ্ভাবিত জিন এক্সপার্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৪৫ মিনিটে কোভিড-১৯ পরীক্ষার (Xpert Xpress -SARS CoV-2 Test) অত্যাধুনিক পদ্ধতি নড়াইল সদর হাসপাতালে আজ স্থাপন করা হয়েছে।

শনিবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কোভিড-১৯ পরীক্ষার (Xpert Xpress -SARS CoV-2 Test) এই অত্যাধুনিক পদ্ধতি ল্যাবটি উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা।

এ সময় তিনি যাদের আন্তরিক সহযোগিতায় এ ধরণের একটি অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাবটি তার (মাশরাফী) নির্বাচনী এলাকায় স্থাপন করতে পেরেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে মাশরাফী বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাবটি ব্যবহারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন পরিচালক টিবি-লেপ এবং এএসপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলামের প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

কোভিড-১৯ পরীক্ষার ল্যাব উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নড়াইল সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ আব্দুস শাকুরের সভাপতিত্বে প্রধান অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক এমবিডিসি ও লাইন পরিচালক টিবি-লেপ এবং এএসপি অধ্যাপক ডাঃ মোঃ সামিউল ইসলাম।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন পিপিএম (বার), জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড.সোহরাব হোসেন বিশ্বাস, সদর উপজেলার চেয়ারম্যান ও নড়াইল জেলা আওয়ামীলেিগর সাধারণ সম্পাদক মোঃ নিজামউদ্দিন খান নিলু, নড়াইল পৌর মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সিনিয়র টিবি বিশেষজ্ঞ-ইউএসএআইডি সাপোর্টেড আইডিডিএস প্রকল্প ও কোর গ্রুপ সদস্য, জিএলআই (গ্লোবাল ল্যাবরেটরি ইনেসিয়েটিভ) সরদার তানজির হোসেন, মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার গর্বিত পিতা গোলাম মোর্ত্তজা স্বপনসহ হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকবৃন্দ, আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, গণমাধ্যম কর্মীরা। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মশিউর রহমান বাবু।

অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, যক্ষ্মা রোগ প্রতিরোধে এই পদ্ধতি ইতোমধ্যে আশানুরূপ ফল দিয়েছে। আর কোভিড-১৯ পরীক্ষায়ও এটি সাফল্য লাভ করেছে। অত্যাধুনিক এই পদ্ধতি বাংলাদেশের হাতেগোনা কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এই প্রযুক্তি তাদের প্রতিষ্ঠানে চালু করার জন্য জোর তৎপরতা চালাচ্ছেন। আমাদের মাননীয় সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার প্রচেষ্টায় সারাদেশের জেলা পর্যায়ের প্রথম দিককার জেলা হিসেবে নড়াইলে এটি আজ থেকে চালু হলো। এটি নিঃসন্দেহে নড়াইলবাসীর জন্য একটি বড় সুসংবাদ। তবে আপাতত এই পরীক্ষা সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হচ্ছে না। মূলত কম সময়ে পরীক্ষার ফলাফল দিতে পারায় এই কিটের চাহিদা প্রচুর, আর কিটের সংখ্যাও সীমিত। তাই এসকল বিষয় বিবেচনায় জরুরি ফলাফল প্রয়োজন এমন রোগীদের জন্যই এই পদ্ধতিতে কোভিড-১৯ পরীক্ষা করানো হবে। এক্ষেত্রে আমাদের চিকিৎসকরাই কাদের জন্য এটি করা প্রয়োজন বা জরুরি তা নির্ধারণ করবেন। আর বাকীরা আগের নিয়মে জেলা বা উপজেলা হাসপাতাল থেকে কোভিড-১৯ শনাক্তের পরীক্ষা করবেন।

জরুরি করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রয়োজন, এমন আশংঙ্কাজনক রোগীদের জন্য বর্তমান বাস্তবতায় এটি খুবই উপকার বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস।

একই পদ্ধতিতে লোহাগড়ায়ও কোভিড-১৯ পরীক্ষার চালু করা হবে এবং দ্রুত অল্প সময়ের মধ্যে এধরণের একটি ল্যাব কালিয়া হাসপাতালেও বরাদ্দ দেয়া হবে বলে জানান অতিথিবৃন্দ।