নড়াইল কণ্ঠ : করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে চিকিৎসক ও নার্সসহ সংশ্লিষ্টদের সুরক্ষার জন্য দ্রুত নড়াইলে ৫০০ পিস পিপিই (পারসোনাল প্রোটেশন ইকিউপমেন্ট) সরবরাহ করবেন ওয়ানডে ক্রিকেট দলের অধিনায়ক, নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সোমবার (২৩ মার্চ) দুপুরে রাসেল বিল্লাহ ফেসবুক স্ট্যাটাসের এমন তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সূত্রে জানা গেছে, নড়াইলের একটি মানুষও যেন কোন অবহেলার কারনে বা কোন প্রস্তুতির অভাবে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। সর্বোচ্চ সেবা থেকে বঞ্চিত না হয় সেসব কথা চিন্তা করেই নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ইতিমধ্যে তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় (লোহাগড়া ও নড়াইলের আংশিক) গত ১৭ মার্চ হতে ২০ মার্চ পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষকে করোনা ভাইরাস সচেতনতা চালিয়েছেন। মানুষ সর্বত্র সর্তক থাকার অনুরোধ করেছেন।
উল্লেখ্য, পিপিই জীবাণুর সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ মানুষ ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা দেয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে পিপিই মজুদ আছে ১৬ হাজার ১০০ হ্যান্ডগ্লাভস; ২২ হাজার ২৯৫ হ্যান্ডরাব; ৪২ হাজার ২০০ ফেসমাস্ক, ক্যাপ ও সু-কভার; ৩৪ হাজার ৮৯টি সার্জিক্যাল মাস্ক ও প্রটেক্টিভ কভারওয়েল; ৩৪০টি কম্বো সার্জিক্যাল প্রটেক্টর (অ্যাপ্রোন, ক্যাপ ও সু-প্রটেক্টর); ১২ হাজার ৬২০টি গাউন এবং ৪ হাজার ৪৩০টি আই প্রটেক্টর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, পিপিই নিয়ে কোনো সংকট হবে না। আমরা ১০ লাখ পিপিই সংগ্রহের চেষ্টা করছি।
করোনা ভাইরাস রোগীদের চিকিৎসা সেবাদানকারী সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার জন্য পিপিই (হ্যান্ডগ্লাভস, সার্জিক্যাল মাস্ক, গাউন, চমশা, সু-কভার ও জীবাণুনাশক) প্রয়োজন। এ ছাড়া সন্দেহভাজন করোনা ভাইরাস বহনকারীর দেহ থেকে নমুনা সংগ্রহ ও ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করবেন তাদেরও পিপিই লাগবে। কাজের ধরন অনুযায়ী একেকজনের পিপিই একেক রকমের হয়ে থাকে। পিপিই সরবরাহের ঘাটতি হলে চিকিৎসাসেবায় ভয়াবহ প্রভাব পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকিৎসক-নার্সদের সুরক্ষায় পিপিই সরবরাহ জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণ পিপিই না থাকলে চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা চিকিৎসাসেবা দিতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার শঙ্কায় থাকবেন। ফলে ভয়ে চিকিৎসাসেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।