ওজন কমাতে গিয়ে গোপন ক্যামেরার ফাঁদে গৃহবধূ! মহিলাদের জন্য নতুন বিপদ

170

ওজন কমাতে গিয়ে ভাল ফল পেয়েছিলেন ওই গৃহবধূ। এর পরেই অভিযুক্তের পাতা ফাঁদে পা দেন তিনি। হার্বাল প্রোডাক্ট বিক্রির নাম করে মহিলার গোপন ছবি তুলে ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ! অভিযুক্ত হার্বাল প্রোডাক্ট বিক্রির সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি।
ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের হলদিয়ায়। থানায় অভিযোগ দায়ের হলেও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ওজন কমানোর জন্য একাধিক হার্বাল প্রোডাক্ট বিক্রির ব্যবসা শুরু করে হাওড়ার বালির বাসিন্দা সন্দীপ দত্ত। তিনি হলদিয়ার ১৯ নম্বর ওয়র্ডের নিবেদিতা
কলোনিতে একটি অফিস খোলে সে। গত একবছর ধরে প্রোডাক্ট বিক্রির কাজ ভালই চলছিল।
ওজন কমানোর জন্য স্থানীয় এক গৃহবধূ সন্দীপবাবুর দেওয়া হার্বাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করে উপকৃত হন। গৃহবধূরর অভিযোগ, এর পরে সন্দীপ ওই গৃহবধূকে তার প্রোডাক্ট
বিক্রির কাজে যুক্ত হওয়ার কথা জানায়। গৃহবধূ তাতে রাজি হয়ে কাজ শুরু করেন।

অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের ওয়াশরুমে গোপন ক্যামেরা লাগিয়ে মহিলার অসতর্ক মুহূর্তের বেশকিছু ছবি তুলে নেয় সন্দীপ। অভিযোগ, সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়
দেখিয়ে দিনের পর দিন ওই গৃহবধূর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ করে ওই ব্যক্তি। শ্লীলতাহানি এবং ধর্ষণে চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ গৃহবধূর।

ঘটনার কথা কাউকে জানালে আপত্তিকর ছবি প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখাত সন্দীপ। গৃহবধূ জানান, কাজের অছিলায় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাঁর সঙ্গে অশ্লীল আচরণ
করতে থাকে সন্দীপ। দিনের পর দিন এই ভাব নিগৃহীত হওয়ার পরে শেষ পর্যন্ত গোটা বিষয়টি পরিবারকে জানান ওই গৃহবধূ।

বৃ্হস্পতিবার রাতে হলদিয়া থানায় অভিযুক্ত সন্দীপ দত্তের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানি ও ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে হলদিয়া থানার
পুলিশ। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক।

অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিশ। গৃহবধূর দাবি, একা তিনি নন, আরও অনেক মহিলার সঙ্গেই একই আচরণ করেছে সন্দীপ। সম্মানহানির ভয়ে কেউ প্রতিবাদ
করার সাহস পাননি। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করেছেন ওই গৃহবধূ।