• 03 May, 2024

আব্দুল জব্বারের সততা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে

আব্দুল জব্বারের সততা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বার অন্যায়-অবিচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে সংগ্রাম করেছেন। তার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে।

২৮ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে রোববার দেওয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আব্দুল জব্বারকে জাতির পিতা বিশেষ স্নেহ করতেন এবং ভালোবাসতেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে রাজনীতি ও মানবসেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। অন্যায়-অবিচার, নির্যাতন-নিপীড়নের বিরুদ্ধে জীবন বাজি রেখে তিনি সংগ্রাম করেছেন। তার ব্যক্তিত্ব, প্রজ্ঞা, সততা ও দেশপ্রেম সবাইকে অনুপ্রাণিত করে। অভিজ্ঞ পার্লামেন্টারিয়ান আব্দুল জব্বারের বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবন তরুণ প্রজন্মকে দেশপ্রেমে উৎসাহিত করবে বলে আমি বিশ্বাস করি।’


জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্নেহধন্য, প্রাক্তন জাতীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল জব্বারের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রী তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ভাষা সৈনিক আব্দুল জব্বার ১৯৬২ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিতে প্রভাতফেরী, প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন ও শোভাযাত্রা করার কারণে গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ করেন। ১৯৬৪ সালে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কুলাউড়া শহরে প্রথম শহীদ মিনার নির্মিত হয়। ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৬-এর ছয় দফা, ’৬৮ এ আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭০-এর নির্বাচন, ’৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ, ’৯০-এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামে তিনি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন।

এছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতাকে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট কালরাতে পরিবারের ১৮ জন সদস্যসহ নির্মমভাবে হত্যার পর আব্দুল জব্বার ১৭ আগস্ট কুলাউড়া শহরে প্রতিবাদ সমাবেশ, বিক্ষোভ মিছিল ও গায়েবানা জানাজার আয়োজন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেল থেকে মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারও ঈদুল আজহার রাতে তিনি গ্রেপ্তার হন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের অন্যতম খুনি মেজর নুর কারাভ্যন্তরে তাকে রাতভর অমানষিক নির্যাতন করে এবং ভোরে ব্রাশ ফায়ার করতে উদ্ধত হলে মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে তিনি প্রাণে বেঁচে যান। মুক্তি পেয়ে পুনরায় রাজনৈতিক কার্যক্রম শুরু করলে আবারও তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কারাবরণ ও নির্যাতনের শিকার হন।


প্রধানমন্ত্রী মহান আল্লাহর দরবারে মরহুম আব্দুল জব্বারের পবিত্র আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন।