নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে এবং কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে,এ হত্যাকান্ডের ঘটনার দুই দিন অতিবাহিত হলেও শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।
জানা যায়, নড়াইল সদর হাসপাতালে নিহত পলাশের ময়নাতদন্ত শেষে শুক্রবার বিকেল লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের বাড়িতে চেয়ারম্যান পলাশকে দাফন করা হয়। এর আগে গত ১৫ ফেব্রæয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে দিঘলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা লতিফুর রহমান পলাশকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা।
এ ব্যাপারে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, চেয়ারম্যান পলাশ হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইউপি মেম্বারসহ চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরা হলেন-দিঘলিয়া ইউপি মেম্বর বাটিকাবাড়ি গ্রামের মহিউদ্দিন কাজীর ছেলে ফরিদ আহম্মেদ বুলু (৪৮), কুমড়ি গ্রামের আবদুস সালাম শরীফের ছেলে শরীফ বাকি বিল্লাহ (৩৮), একই গ্রামের সোহেল হোসেনের ছেলে স্ত্রী রিজিয়া সুলতানা এবং লোহাগড়া পৌরসভার রাজুপুরের সাত্তার শেখের ছেলে মিরান শেখ (৩০)। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শনিবার দুপুরে তাদেরকে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।