নড়াইল কণ্ঠ : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে ঘরে থাকা হতদরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির বরাদ্দকৃত সরকারের ১০টাকা কেজির চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) রাত ৯টার দিকে অবৈধভাবে চাল কেনার অভিযোগে নড়াইলের লোহাগড়ায় ৩ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল-জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার জয়পুর ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজির চালের ডিলার আশরাফুল আলমের মরণমোড়স্থ দোকানঘর থেকে আজ বৃহস্পতিবার পাশ্ববর্তী বাবরা গ্রামের ভ্যান চালক শহীদ খাঁ (৩৮) ১৫’শ টাকায় পঞ্চাশ কেজি চাল ক্রয় করে আড়পাড়া গ্রামের মৃত সামাদ জমাদ্দারের ছেলে জবদুল জমাদ্দার (৫৪) ও একই গ্রামের মৃত শেখ আমিন উদ্দিনের ছেলে রজিবর শেখ (৬৭)’র কাছে বিক্রি করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখী ব্যানার্জির নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালতের একটি দল অভিযান চালিয়ে কালোবাজারে বিক্রিত পঞ্চাশ কেজি চাল জব্দ করে ও অভিযুক্ত ৩ জনকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে শহীদ খাঁ’কে ৩ মাসের জেল ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদন্ড এবং অপর অভিযুক্ত জবদুল জমাদ্দার ও রজিবর শেখকে পৃথকভাবে ২৫’শ টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ সময় লোহাগড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমানুল্লাহ আল বারী ও এসআই জয়নুল ইসলামসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
লোহাগড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাখী ব্যানার্জি বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের চাল কালোবাজারে বিক্রি করার অপরাধে পলাতক ডিলার আশরাফুল আলমের বিরুদ্ধে থানায় নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত ডিলার পলাতক আশরাফ লোহাগড়ার জয়পুর ইউনিয়নের আড়িয়ারা গ্রামের মৃত হেদায়েতের ছেলে। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।